শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছেন সাতজন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন ফেনীবাসী। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩-৪ মিনিট। ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া বৃষ্টি ৩-৪ মিনিট স্থায়ী ছিল। এ সময় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
এদিকে রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের বড়াদম এলাকায় এবং রাঙামাটি শহরের সিলেটি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রাঘাতের সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৫৫) ঘরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। একই সময় বজ্রাঘাতে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়ায় মো. নজির (৫০) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঘরের পাশে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন।
এদিকে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রাঘাতে দিদারুল ইসলাম (৩০) নামে লবণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোলাইল্লাদুয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দিলারুল ইসলাম ওই এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে।
এ বিষয়ে নিহতের চাচা জাকের হোসাইন বলেন, ভোর চারটার দিকে আকাশে মেঘ জমলে ভাতিজা দিদারকে নিয়ে আমি লবণ তুলতে যাই। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে আচমকা বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদারুল ইসলাম।’